
না ফেরার দেশে চলে গেলেন অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক চিত্রালীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বাচসাস সদস্য হীরেন দে। হীরেন দে’র ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক ও অভিনেতা নরেশ ভুঁইয়া মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে বরেণ্য এই সাংবাদিক পরলোক গমন করেন। মারা যাওয়ার পরপরই তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে জন্মস্থান গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানেই তাকে দাহ করা হবে।
জানা গেছে, চিত্রালীয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নেন হীরেন দে। এপরপর কিডনিজটিলতার কারণে তাকে প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়েছে। সর্বশেষ তার স্ত্রী এই প্রতিবেদকের কাছে জানিয়েছিলেন সপ্তাহে দু-বার হীরেন দেকে ডায়ালেসিস নিতে যেতে হয়।
এদিকে বরেণ্য সাংবাদিক ও মঞ্চ অভিনেতা হীরেন দের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। সংগঠনের সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ এক বিবৃতিতে বরেণ্য সাংবাদিক ও অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক চিত্রালীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি হীরেন দে বাচসাস সদস্যদের মাঝে তার কর্মগুণে স্মরণীয় হবেন বলেও উল্লেখ করেন।

পাশাপাশি হীরেন দের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। তিনি বলেন, সবাইকে একদিন মৃত্যুর স্বাধ নিতে হবে। আজ সে পথেই হীরেন দে চলে গেলেন। তবে তার এই চলে যাওয়া আমি ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যাদের পরামর্শ পেয়েছিলাম তাদের একজন হীরেন দেকে আজ হারিয়ে বাকরুদ্ধ। মনে পড়ে আহমেদ জামান চৌধুরী (খোকা) ভাইয়ের সঙ্গে হীরেন দে অনেকবার আমার বাসায় এসেছেন। আমাদের অনেক আড্ডাও হয়েছে। স্বল্পভাষী এবং ব্যক্তিত্ববান ছিলেন। আজ সব অতীত। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
হীরেন দে একাধারে চলচ্চিত্র সাংবাদিক-সমালোচক, চলচ্চিত্রসংসদকর্মী, নাট্যকর্মী, অভিনেতা, চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য-সংলাপ রচয়িতা ও কবি।