তৃতীয় ধাপে ৬২ পৌরসভায় আজ শনিবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই ধাপের সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ভোটের অনিয়ম ঠেকাতে সকালে ভোটের আগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান গতকাল শুক্রবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন ৬২ পৌরসভায় ভোট হচ্ছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে একজন মেয়র পদপ্রার্থী মারা যাওয়ায় সেখানে ভোট পিছিয়ে চতুর্থ ধাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর কুমিল্লার লাকসামে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর সবাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে সেখানে ভোট হচ্ছে না।’
‘স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনি মালামাল সব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। শনিবার (আজ) সকালেই পৌঁছাবে ব্যালট পেপার’, যোগ করেন কমিশনের যুগ্ম সচিব।
ইসির উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। এরই মধ্যে ভোটের সব ধরনের প্রচার শেষ হয়েছে। নির্বাচনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা। যানচলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এই ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যালট পেপার পাঠানো বাদে সব ধরনের ব্যবস্থা এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। কিছু পৌরসভা ও কিছু কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ইসির যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান আরজু বলেন, ‘মোট নয়টি পৌরসভাকে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় ফেলা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকা করা হয়েছে। ওই নয়টি পৌরসভায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজন হবে, সেখানেও অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু করতে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ইসি তা গ্রহণ করেছে।’
এ ধাপের নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি মেয়র পদে লড়ছেন বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও। এ ধাপে মোট ৩৭ জন জনপ্রতিনিধি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন মেয়র, নয়জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ২৫ জন সাধারণ কাউন্সিলর রয়েছেন।
ইসি জানিয়েছে, চূড়ান্ত লড়াইয়ে ভোটের মাঠে রয়েছেন মোট তিন হাজার ৩৪৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ২২৯ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৫৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৬০ জন।