আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়েছে। শনিবার সকাল নাগাদ এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে নিম্নচাপটি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ধরে নিয়ে ব্যাপক প্রস্ততি নিতে শুরু করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম দেওয়া হবে সিত্রাং। থাইল্যান্ডের দেওয়া এই নামের অর্থ ‘পাতা।’
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হবে। প্রথমে এটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও পরে তার অভিমুখ হবে উত্তর দিক। ২৪ অক্টোবর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৫শে অক্টোবর নাগাদ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি।
কানাডার সাসক্যাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শুক্রবার বিকেল ৩টার পর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন- নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশে পৌঁছে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের পুরোটা বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বিশেষ করে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সকল উপকূলীয় জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলেও লিখেছেন তিনি।