কাঁচা মরিচ শুধু রান্নাবান্নার কাজে প্রয়োজন তা কিন্তু নয়, এর মধ্যে বেশ অনেক গুনাবলী রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে, এমনকি কাঁচা মরিচ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। কাঁচা মরিচের ৬টি স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর ডায়াটারি ফাইবার, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, আয়রন, ফলেট, ম্যাঙ্গানিজ এবং ফসফরাস। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি-৬, সি, কে, পটাশিয়াম, কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।
১। সুগার (ডায়াবেটিস) নিয়ন্ত্রণে অনেক বড় ভূমিকা রাখে কাঁচা মরিচ। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্য মরিচ খুবই উপকারী। মরিচের মধ্যে একটি উপাদান রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২। কাঁচা মরিচ ছেলেদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা কমায়।
৩। আমরা যারা ডায়েট কনট্রোল করে ওজন কমাতে চেস্টা করি তাদের জন্য কাঁচা মরিচ ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে । এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও জিরো ক্যালোরি। মরিচ খেলে কারও পরিপাক প্রক্রিয়া অন্তত তিন ঘণ্টা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কাঁচা মরিচ দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
৪। কোনও দুর্ঘটনায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মসলাদার কিছু খেলে ভালো কাজ দেয়। এর মধ্যে যদি মরিচ থাকে তাহলে আরও ভাল। কাঁচা মরিচের মধ্যে থাকে ভিটামিন কে। এটি রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে।
৫। হঠাৎ ঠাণ্ডা লাগার ধাত ও সাইনাসের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা কাঁচা মরিচ খেতে পারেন। এতে থাকা ক্যারাসাসিন এ সমস্যায় দ্রুত কার্যকরী। কাঁচা মরিচে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
৬। হাড় শক্ত করতে মরিচের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কাঁচা মরিচে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ। ফলে কাঁচা মরিচে শুধুমাত্র হাড় শক্তই করে না বরং দাঁতকেও মজবুত করে।
একটি কধা মনে রাখবেন যে প্রতিদিন দুটি করে কাঁচা মরিচ খাবেন তাদের উপরোক্ত উপকারগুলো পাওয়া সম্ভব।